Posts

 আঁকা বাঁকা মেঠো পথটি সবুজে ঘেরা গ্রামের মধ্যে গিয়ে মিশে গিয়েছে। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য গ্রামটিকে দিয়েছে এক নব যৌবন। নানা ধরনের পাখির সুমধুর কলকাকলিতে মুখরিত গ্রামটি। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে হাঁসগুলি ডুব দিয়ে দিয়ে ছোট ছোট মাছ আর শামুখ খায়। সাদা বক মাছ ধরার আশায় গাছের ডালে বসে থাকে আবার পানকৌড়ি মাধ ধরার জন্য ডুব দিয়ে দিয়ে নদীর তলদেশে অনুসন্ধান চালায়। দু একটা মাছও পেয়ে যায়। এসবের মায়া যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে। ওহ গ্রামের নামটা তো বলাই হয় নি এখনও। গ্রামের নাম সুখীপুর। গ্রামের নাম সুখীপুর হলেও এ গ্রামের মানুষের জীবনে সুখ নেই বললেই চলে। নানারকম কুসংস্কার আর ঝগড়া বিবাদে প্রায়ই রক্তারক্তি কান্ড ঘটে যায়। মাঝে মাঝে দরবার সালিশের মাধ্যমে এসব বিবাদের মিমাংসাও হয়ে থাকে। এ গ্রামে শিক্ষিত বলতে গুটি কয়েকজন লোকই আছে। তার মধ্যে আনন্দমোহন বাবু একজন। আনন্দমোহন বাবু পেশায় ছিলেন একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তার পান্ডিত্যের জন্য আশপাশের গ্রামে বেশ সুখ্যাতিই ছিল। অংক বিদ্যায় পারদর্শীতার জন্য বেশ কয়েকবার পুরস্কারও লাভ করেন। ৬ সদস্যের পরিবারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। তারপরও তিনি নতুন নতুন জ্ঞান আহরোণ কর...